Sunday, October 30, 2016

Tuesday, October 25, 2016

ধর্ষণ আমেরিকার শিক্ষার্থীদের কাছে ডালভাতের মতোই সাধারণ ঘটনা

২০১৩ সালের আগস্ট । ইউ.এস. এ. । ১৯ বছরের সারা (ছদ্মনাম) খুব খুশি । তার এতদিনের স্বপ্ন পূরন হতে চলেছে । অনেক চেষ্টার পর সে সুযোগ পেয়েছে ইউনিভার্সিটিতে পড়ার । অবশেষে এসেছে সেই মুহূর্ত । ক্যাম্পাসের দ্বিতীয় রাতে তার সব ক্লাসমেটেরা পার্টী করছিল ভার্সিটিতে ভর্তির আনন্দে । সারাও ছিল সেখানে । রাত প্রায় ১ টার দিকে তার এক পুরুষ ক্লাসমেটের সঙ্গে তার দেখা হয়ে গেল । এই ছেলেটাকে সে আগে কখনো দেখেনি তবে মাঝে মাঝে অনলাইনে কথা হয়েছে । কিছুক্ষন গল্প গুজব করার পর ঐ ছেলেটা তাকে বলল, “চল কিছু ড্রিংক করা যাক । মাথা নেড়ে সায় জানালো সারা – ভালো বলেছ । আমার গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছে । ছেলেটা সারার গ্লাসে ড্রিংকস ঢেলে দিল । সারা চুমুক দিল গ্লাসে । তারপর তার আর কিছুই মনে নেয় । নয় ঘন্টা পর যখন তার জ্ঞান ফিরল সে নিজেকে আবিষ্কার করল অপরিচিত এক রুমের বিছানায় । মাথাটা ঝিম ঝিম করছিল, গায়ে একটা সুতা পর্যন্তও নেই , চুলগুলো এলোমেলো । বিছানার পাশে চেয়ারে বসে আছে একটা ছেলে – এই ছেলেটায় গতকাল রাতে তার গ্লাসে মদ ঢেলে দিয়েছিল মনে পড়লো তার । স্থানীয় একটা হাসপাতালে মেডিক্যাল চেকআপের রিপোর্ট থেকে নিশ্চিত হওয়া গেল সারাকে ধর্ষণ করা হয়েছে । সারা অবশ্য আগে থেকেই এমনটা অনুমান করেছিল । খুবই দুঃখের বিষয় ইউরোপ আমেরিকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এরকম ঘটনা খুবই কমন । ধর্ষণ আমেরিকার শিক্ষার্থীদের কাছে ডালভাতের মতোই সাধারণ ঘটনা । এই দেশের কলেজ ইউনিভার্সিটিগুলো পৃথিবীর গতিপথ পাল্টে দেওয়া মানুষ তৈরি করছে সত্য , কিন্তু সেই সাথে তৈরি করছে অনেক ধর্ষক । আমেরিকার স্কুল , কলেজ , ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাস গুলোই নারীদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে অনিরাপদ ক্যাম্পাস ।
কিছু পরিসংখ্যান সাহায্য করবে অবস্থার ভয়াবহতা বুঝতে –
# এমন ছয়লাখ তিয়াত্তর হাজার শিক্ষার্থী যারা এ মুহূর্তে আমেরিকার কলেজ এবং ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করছেন তাঁরা জীবনে অন্তত একবার ধর্ষণের শিকার হয়েছেন । (২০০৭ সালের জরিপ)
# প্রতি ২১ ঘন্টায় আমেরিকার কোন না কোন কলেজের ক্যাম্পাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে
# প্রতি ১২ জন কলেজেগামী পুরুষ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১ জন ধর্ষণের সাথে জড়িত
# ধর্ষিত হওয়া ৫৫ শতাংশই নারী সে সময় মাতাল ছিলেন । ৭৫ শতাংশ ধর্ষকেরাই ধর্ষণ করার সময় মাতাল ছিল বা তার অল্প কিছুক্ষন আগে ড্রাগস নিয়েছিল ।
# ইংল্যান্ডের প্রতি তিনজন মহিলা শিক্ষার্থীর মধ্যে একজন তাঁর নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই ধর্ষণের শিকার হয় (টেলিগ্রাফ)
# আন্ডারগ্র্যাড লেভেলের অর্ধেক
মহিলা শিক্ষার্থী জানিয়েছেন তারা প্রত্যেকেই এমন কাউকে চিনেন যারা তাদের নিজেদের
ক্যাম্পাসেই নিজেদের বন্ধুদের দ্বারা ধর্ষণের শিকার হয়েছে । (টেলিগ্রাফ)
# “It is estimated that 1 in 5 women on college campuses has been sexually assaulted during their time there — 1 in 5.” –President Obama, remarks at White House, Jan. 22, 2014
“We know the numbers: one in
five of every one of those young women who is dropped off for that first day of
school, before they finish school, will be assaulted, will be assaulted in her
college years.” –Vice President Biden, remarks on the release of a White House
report on sexual assault, April 29, 2014 (Washington post)
এই রেপগুলোর পেছনের প্রভাবক হিসেবে কাজ করে অনেক গুলো বিষয় । তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গুলো হল- পর্ণমুভি, মদ্যপান , গাঁজা, কোকেন এককথায় ড্রাগস , নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশ, নারীদের অভদ্র (indecent) পোশাক আশাক ।
ফার্স্ট ইয়ারের ফ্রেশ স্টুডেন্টদের জন্য ওরিয়েন্টশানের দিন থেকে শুরু করে থ্যাংকসগিভিংডে পর্যন্ত এই ছয় সপ্তাহ সবচেয়ে ভয়াবহ । এই সময় তারা সবচেয়ে বেশী ঝুঁকির মধ্যে থাকে যৌন নিপীড়নের । এই সময়টাতে নতুন পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়ানোর জন্য তাদের সংগ্রাম করতে হয় । সেই সাথে সিনিয়রদের “দাদাগিরি” ফলানোতো আছেই । Association of American Universities এর নতুন প্রতিবেদন (৬) থেকে দেখা যায় গ্র্যাজুয়েশান কোর্স শেষ করার পূর্বে প্রতি চার জন্য নারীর মধ্যে একজন ধর্ষণের শিকার হন । এই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে গত বসন্তে ২৭ টি টপ ইউনিভার্সিটির প্রায় দেড়লাখ শিক্ষার্থীদের মধ্যে জরিপ চালিয়ে । এই প্রতিবেদনে আমেরিকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নারী নির্যাতনের যে চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে তা ২০১৪ সালের আগের প্রতিবেদন (1 in a 5 stats, এই প্রতিবেদন দেখেই ক্যাম্পাসে নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রশাসন গঠন করেছিল – white house task force to protect students from sexual assault ) থেকে অনেক ভয়াবহ . White house task force এর প্রথম রিপোর্টে (not alone) অবশ্য বলা হয়েছিল প্রতি চার জন নারী শিক্ষার্থীর মধ্যে তিন জন ক্যাম্পাসে থাকাকালীন যৌন নির্যাতনের শিকার হন । প্রায় ৮৪ শতাংশ ক্ষেত্রে ধর্ষক ভিক্টিমের পরিচিত থাকে । বেশীর ভাগক্ষেত্রেই ধর্ষণের ঘটনা ঘটায় ভিক্টিমের বন্ধু, ক্লাসমেট , এক্স- বয়ফ্রেন্ড অথবা পরিচিত অন্য কেউ । প্রতিবেদনে আরো দেখা যায় – ধর্ষণের সময় অধিকাংশ ভিক্টিম স্বাভাবিক সচেতন অবস্থায় ছিলেন না – তারা হয় মাতাল ছিলেন বা কোন হার্ড ড্রাগস নিয়েছিলেন অথবা কোন ভাবে হুঁশ হারিয়ে ফেলেছিলেন ।
সারা তার ধর্ষকের বিরুদ্ধে কোন চার্জ আনেননি এবং জনসম্মুখে প্রকাশও করেননি ঠিক কে তাকে ধর্ষণ করেছিল । আমেরিকাতে ধর্ষণের ঘটনা চেপে যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু না । American Civil Liberties Union এর রিপোর্ট অনুযায়ী ৯৫ শতাংশ ধর্ষণের ঘটনাই আনরিপোর্টেড থেকে যায় । এক্সপার্টদের মতে এর কারন হতে পারে ভিক্টিমের মানসম্মান হারানোর ভয় , ধর্ষকদের বিচার না করা বা তাদের প্রতি সমাজের সহানুভূতি । ধর্ষণের ঘটনা রিপোর্ট করা হলেও , বেশীরভাগ
ক্ষেত্রেই ধর্ষকের গায়ে ফুলের টোকাটা পর্যন্ত পড়ে না আইনী এবং প্রশাসনিক জটিলতার
কারণে । বোঝেন আমেরিকার এই সমাজ কতটা পচে গেছে ।
অবস্থা এতটাই ভয়াবহ যে খোদ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে হস্তক্ষেপ করতে হচ্ছে । অবস্থা সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে তার প্রশাসন । হিলারী ক্লিনটন ক্যাম্পেইন করছেন , সরকারের তরফ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে । তবে সেগুলো খুব একটা ফলপ্রসু হচ্ছে না কলেজ , ইউনিভার্সটির কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতার কারণে । u.s. senate subcommittee on financial & contracting oversight স্বীকার করেছে ৪৪০টি কলেজ এবং ইউনিভার্সিটি স্যাম্পলের মধ্যে ৪০ শতাংশেরও বেশী কলেজ এবং ইউনিভার্সিটি গত ৫ বছরে একটা যৌন নিপীড়নের ঘটনার তদন্তও ভালোমতো করেনি । বেশীরভাগ কলেজ , ইউনিভার্সটি কর্তৃপক্ষ চাচ্ছে না তাদের ক্যাম্পাসে ঘটা নারী নির্যাতনের ঘটনা গুলো বের হয়ে আসুক । কে আর নিজেদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে চায় ? কেই বা চাইবে নিজেদের গোমর ফাঁস করে দিয়ে সরকার বা কোন দাতব্য সংস্থার ফান্ডিং হারাতে । বাধ্য হয়ে সারা’র মতো শিক্ষার্থীরা নিজেদের মতো চেষ্টা করছেন ক্যাম্পাসে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য । বিভিন্ন সোসাইটি বা মুভমেন্টের মাধ্যমে তারা চেষ্টা করছেন ধর্ষণের বিরুদ্ধে সবাইকে এক প্লাটফর্মে নিয়ে আসার । সুবহানআল্লাহ! উপরে যতই মহান , সভ্য , উদার , মানবিক বলে মনে হোক না কেন এই হল পাশ্চাত্যের বস্তুবাদী সভ্যতার আসল চেহারা । স্বাধীনতা আর নারীর সমানাধিকার বলে চিল্লাপাল্লা করে গলা ফাটিয়ে ফেললেও দিন শেষে নারীর ইজ্জতের চেয়ে তাদের কাছে ভাবমূর্তি আর ডলারের মূল্য অনেক বেশী । মদীনাতে একজন মুসলিম মহিলার সম্মানের জন্য মহানবী (সাঃ) ইহুদীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করে ফেলেছিলেন প্রায় । মাত্র একজন মহিলার জন্য । অথচ এই ইসলামকে আজ পুরো বিশ্ব জুড়ে খুব সুপরিকল্পিত ভাবে রিপ্রেজেন্ট করা হচ্ছে নারী স্বাধীনতার হন্তারক হিসেবে । বোরখার আড়ালে মুসলিমরা নারীদের ঘরের চার দেয়ালে আটকে রাখে , সম্পত্তিতে নারীদের সমানাধিকার দেয় না

Monday, September 26, 2016

আপনার চটি(অশ্লীল গল্প) পড়ার অভ্যাসথাকলে......


আপনার চটি(অশ্লীল গল্প) পড়ার অভ্যাসথাকলে এই রিপোর্টটির ক্ষেত্রে তা ত্যাগ করুন। মানে, চটিতে প্রত্যেক লাইনে লাইনে যে কল্পণা করেন আপনি, সেটা এখনে করতে যাবেন না, পড়ে যাবেন বুঝে বুঝে শুধু।* আপনি কোনো প্রকার উত্তেজিত থাকলে স্বাভাবিক অবস্থায় এসে তারপর পড়ুন, এখনই পড়বেন বলছিনা, আগে স্বাভাবিক হোন।* রিপোর্টের কোনো কথা নিজে টেস্ট করতেযাবেন না(প্রত্যেকটা কথা/
লাইন ১০০% সঠিক পরীক্ষীত তথ্য দিয়ে লেখা) , যেখানে আপনার ক্ষতি হতে পারে।................................................................................................................................................কাম, লালসা, নগ্নতা, অশ্লীলতা ইত্যাদি বিষয়গুলো পর্নোগ্রাফীর সাথে বেশ ভালোভাবেই সম্পর্কযুক্ত। মূলত, বিষয়গুলো ধারাবাহিক ভাবে আসে। ‘অলস মস্তিস্ক শয়তানের আখড়াখানা’ কথাটি অনেকেই যানেন, মোটামুটি বলা যায়, এইসব কামকর্মের পেছনে এটাও বেশ গুরুতর কালপ্রিট। আজকাল নেট থেকে শুরু করে মোবাইল সার্ভিসিং’এর দোকানেও পর্ন ভিডিও ক্লিপের ছড়াছড়ি দেখা যায়। কম্পিউটার তো আছেই, তার উপর মোবাইলের কারনেও এইসব ভিডিও এখন হাতে হাতে। বর্তমান যুবসমাজ যে কি পরিমানে পর্ণাসক্ত, তা কল্পনার বাইরে। অনেকের কাছেই পর্ণ নামক বিষয়টি অবসরের সঙ্গী,আবার অনেকে আসক্তের শিকার। পরকীয়া থেকে শুরু করে ধর্ষণসহ এই ধরনের সকল অপরাধের পেছনেও এই পর্ণোগ্রাফীর প্রভাব রয়েছে। ৯৯% পুরুষ এবং নারী কোনো না কোনোভাবে পর্ণ দেখে তার প্রতি আকর্ষিত হয়েছে, এবং ঐ ৯৯% এর ভেতর ৮৫% কম বেশি পর্ণাসক্ত, এই ৮৫% এর ভেতর ৯১% হচ্ছেন ১৩ থেকে ২০ বছরের ছেলে এবং মেয়ে। সাধারনত, এই বয়সের ভেতর তাদের শরীরে পূর্নতা আসার সময়, যেটাতে তারা শরীরে উপর অনাকাঙ্ক্ষিত অত্যাচার করে (তাদের ভাষায়, যৌবনের জোয়ার উপভোগ)।গবেষকদের মতে, যারা পর্ণোগ্রাফীতে আসক্ত তাদের মষ্তিস্কে মাদকাসক্তির মতই নেশা কাজ করে। যে সব তরুনেরা ইন্টারনেটে পর্ণোগ্রাফী দেখে তারা মাদকাসক্তদের মতই এক রঙীন দুনিয়ায় বিরাজ করে। মষ্তিস্কের যে অংশে মানুষের আসক্তির অনুভূতি কাজ করে, যেমন এ্যালকোহল বা নেশা জাতীয় দ্রব্যে আসক্তি হওয়ার পর বার বার সেটা নেয়ার ইচ্ছার উদ্রেক হয়, সেই একই জায়গায় এই পর্ণোগ্রাফীর উদ্বেপক কাজ করে।কেমব্রিজ ইউনির্ভাসিটির গবেষকরা বলেন, এটাই প্রথম যেটা সরকারকে তরুণদের পর্ণোগ্রাফী থেকে রক্ষা করার জন্য ক্ষতিকর ওয়েব সাইট গুলো বন্ধ করে দিতে হবে। ডেইলি মেইল বরাবর বিভিন্ন ক্যাম্পেইন করে আসছে যাতে ১৮বছরের কম কোন মানুষ পর্ণোগ্রাফী দেখতে না পারে। একটি সার্ভেতে দেখা গেছে যে, ১৩ বছরের বালকদের মধ্যে ইন্টারনেটে পর্ণোগ্রাফী দেখার প্রবণতা বেশি এবং তারা মেয়েদেরকে যৌনতার একটি বিষয় হিসেবে বিবেচনা করাশুরু করে।কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির নিউরোসায়েন্টিস্ট ড. ভেলেরি ভূন ১৯ থেকে ৩৪ বছর বয়সী পর্নোগ্রাফীতে আসক্তের উপর একটি পরীক্ষা চালিয়ে দেখেছেন যে, তারা শুধুমাত্র পর্ণোগ্রাফীতে আসক্ত হওয়ার জন্য তাদের সঙ্গীকে হারিয়েছেন এবং তাদের চাকুরি খুঁইয়েছেন। তিনি দেখেছেন যখন তারা পর্ণোগ্রাফীর ভিডিও ক্লিপ বা ছবি দেখেন তখন তাদের মষ্তিস্কের ওই অংশটুকু কাজ করে যে অংশটুকু মাদকাসক্ত ব্যক্তিরা যখন নেশা করে তখন কাজ করে। কিন্তু যখন তারা পর্ণোগ্রাফী ছাড়া অন্য কোন ছবি বা কম উত্তেজক ভিডিও ক্লিপ দেখে তখন ততোটা উত্তেজনা অনুভব করেনা।ড. ভূন জানতে চেষ্টা করছেন কিভাবে এই আসক্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যায় । তার গবেষণাটি মার্টিন ডাম্নি চ্যানেল ফোরে ‘পর্ণ অন দ্য ব্রেইন’নামে একটি ডকুমেন্টারিতে উপস্থাপন করেবেন। তিনি দীর্ঘ একবছর এই গবেষকদের পিছনে এবং তরুণ-তরুণী ও শিক্ষকদের পিছনে কাটিয়েছেন এই ডকুমেন্টারীটি তৈরি করার জন্য। ৩০ মে সেপ্টেম্বর সোমবার তিনি ডকুমেন্টারিটি প্রচার করবেন।তিনি বলেন, নিষ্পাপতার দিন শেষ। মানুষএখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনেক কিছুই জানতে পারে। এটা হচ্ছে ঘরে হেরোইন রেখে বাচ্চাকে ছেড়ে দেয়া। কিছু ডাক্তার অবশ্য বলেছেন, যারা অতিরিক্ত পর্ণোগ্রাফীতে আসক্ত তারা মাদকাসক্তদের চেয়েও বেশি ঝুঁকিতে আছেন। প্রমাণ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২০০৮ কংগ্রেস , মনোবিজ্ঞানী জেফরি সেটিনোভার বলেন, আধুনিক বিজ্ঞান আমাদের বুঝতে সাহায্য করেছে যে, পর্ণোগ্রাফীর আসক্তি কেমিক্যাল আসক্তি হেরোইনের মতই। শুধু প্রয়োগটা ভিন্ন।এজন্য যুক্তরাজ্যের সরকার ১৯ লক্ষ বাড়িতে ইন্টারনেট সংযোগদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে যোগাযোগ শুরুকরেছে। তারা জানিয়েছে যে, প্রতিটি বাড়িতে ইন্টারনেটে পর্ণোগ্রাফী রোধ করার জন্য ফিল্টার ব্যবহার করতে হাবে। বয়স্করা ফিল্টারের সুইচটি অন অফ করতে পারবে। সব নতুন গ্রাহকের পর্ণোসাইট গুলো বছর শেষে অটোমেটিকেলি ব্লক করে দেয়া হবে যদি তারা ফিল্টার করার জন্য আবেদন না করে।একটা বিষয় খেয়াল করেছেন কখনও, নগ্ন চিন্তা কখন আপনার মনে আসে? খেয়াল করতেহবেনা, এটা পরীক্ষীত, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এইসব কুচিন্তা মনে আসে যখনআপনার মস্তিস্ক অলস অবস্থায় থাকে। আপনি বিকেলে বসে আছেন অযথা, বা রাতে ঘুমাতে গিয়েছেন, ঘুম আসছেনা, তখনই মনের ভেতর কাম নামক বিষয়টা আসে। তারপর আপনি নগ্ন ও অশ্লীল চিন্তা করেন, অতঃপর কাছে যদি পর্ন ভিডিও যদি থাকে তবে সেটা দেখতে শুরু করেন। উদ্দেশ্য কি??? ঘুম আসছনা, সময় কাটানো...এটাই?? আপনি তো ভালো কিছু করেও ব্রেইনকে বিজি রাখতে পারতেন, কিন্তু করছেন না। আপনি কি জানেন যে, এইপর্ণ ভিডিও দেখার ফলে আপনি কতটা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন? চলুন, at a glance বিষয়গুলো দেখা যাক...১. কামোত্তেজক নারী ও পুরুষদের মধ্যে সামাজিক এবং মানসিক সমস্যা বেশী দেখাযায়(এখন বলতেই পারেন, বিয়ের পরে কি তাহলে স্বামী-স্ত্রী তাদের দাম্পত্য জীবন উপভোগ করবে না? করবেনা এটা তো বলছিনা, কথা হচ্ছে বিষয়টা যখন বিকৃত ভাবনার দিকে যায়। বিয়ের পরে আপনি আপনার সঙ্গীর সাথে সহবাস করছেন, আর ব্যাচেলর লাইফে পর্ণ ভিডিও/গল্প দিয়েনিজের ভেতরের কুমন্ত্রনাকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন, ২টা বিষয় আলাদা)।;২. পর্ণ ভিডিও দেখার ফলে একজন মানুষেরমস্তিস্কের ডোমেইন স্পার্কের মাত্রাবেড়ে যায়(বিষয়টি এইরকম যে, আপনি পর্ন ভিডিও না দেখলে/আপনার সঙ্গীর স্বাভাবিক আচরনে আপনি যৌন উত্তেজনা অনুভব করছেন না/খুব উত্তেজনামুলক আচরন/চিত্র দেখেও আপনি যৌন উত্তেজনা অনুভব করছেন না), যেটা দাম্পত্য জীবনেনেতিবাচক প্রভাব ফেলে;৩. স্বমৈথুন/হস্তমৈথুনের দিকে নিয়ে যায়;৪. শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে;৫. আপনার স্বাভাবিক সৌন্দর্যকে ক্ষতিগ্রস্থ করে;৬. আপনাকে অকেজ করে দিতেও এটি যথেষ্ঠ;৭. স্বাভাবিক ব্যাবহারে বাধাগ্রস্থ করে;৮. আপনার মস্তিস্ককে পুরোপুরি বিকৃত করে দেয়াটাও এর দ্বারা সম্ভব;কি বুঝলেন? চলুন আরও একটু ভিতরে যাওয়াযাক...আপনি পর্ণ সাইটে ঢুকলেন, লেখা আসলো...WARNING!!! You must be at least 18 years old to enter this site...আপনি ১৮+/- যেটাই হোন, ক্লিক টু কন্টিনিউ দিয়ে ভিতরে ঢুকে পর্ণ ভিডিওদেখছেন বা অশ্লীল গল্প পড়ছেন, আপনার ভিতরে কিন্তু পরিবর্তন আসছে। আপনি যাদেখছেন বা পড়ছেন, বিষয়টি আপনার ব্রেইনে যাচ্ছে। মানুষের ব্রেইন কিন্তু এমন এক বিষয়, পিসির সিপিইউর মতো কমান্ড দিলে না, না দিলেও স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে। কিরকম?? আপনার চোখের সামনে আচমকা একটি মাছি এলো, এবং আপনার হাত আপনার চোখের সামনে যাওয়ার আগেই আপনার চোখের পর্দা বন্ধ হয়ে গেল। বিষয়টি কিন্তু স্বয়ংক্রিয় ভাবেই ঘটেছে আপনার ব্রেইনের দ্বারা। এরকমই, আপনি যা দেখছেন বা পড়ছেন, বিষয়টি আপনার ব্রেইনে যাচ্ছে, এবং ব্রেইন সেটাকে স্বয়ংক্রিয়ভাইবে প্রক্রিয়াকরন করে আপনার ভিতর তার প্রতিক্রিয়া বিস্তার করছে। কিরকম প্রতিক্রিয়া? আপনি পর্ণ ভিডিও দেখছেনবা আশ্লীল গল্প পরছেন বা অশ্লীল কিছু নিয়ে ভাবছেন, ভাবনাটা কিন্তু আপনি ভাবছেন, যেটা আপনার ভেতরে বাস্তবিক ভাবে ঘটছে, আপনি উত্তেজিত হচ্ছেন। বিষয়টা কিন্তু আপনি ইচ্ছা করে করছেন না, আপনার ইচ্ছায় ঘটছে শুধু পর্ণ ভিডিও দেখছেন বা আশ্লীল গল্প পরছেন বা অশ্লীল কিছু নিয়ে ভাবছেন এটা, বাকিটা কিন্তু স্বয়ংক্রিয়। আপনি উত্তেজিত হচ্ছেন, আপনার ভেতরে কাম/লালসা নামক বিষয়গুলো চলে এসেছে, যেটা আপনি নিজেও তখন বুঝছেন না। খুব বেশি মাত্রায় উত্তেজনার এক পর্যায়ে আপনি স্বমৈথুন/হস্তমৈথুন বা অন্য যেকোনো উপায়ের দিকে চলে গেলেন, এটা আপনি যাবেন না, আপনার উত্তেজনা আপনাকেনিয়ে যাচ্ছে। এক পর্যায়ে আপনার বীর্যপাত/সাময়িক তৃপ্তির মাধ্যমে পুরো বিষয়টি শেষ হচ্ছে। আপনি কি জানেন কি পরিমান ক্ষতি আপনার হলো একেবারেই অকারনে?যৌন সঙ্গমে/ স্বমৈথুন/হস্তমৈথুনে প্রতিবার কত ক্যালরি খরচ হয় তার হিসেব কি করেছেন কখনো ? নাকি ভাবছেন এই হিসেবের দরকারই কী, তাইতো? এই হিসেবেরও দরকার রয়েছে। কারণ শরীর থেকে যত ক্যালরি খরচ করে দিচ্ছেন, সেটা আপনার জানা দরকার, না হলে বুঝবেন না কি হচ্ছে আপনার ভিতর।সম্প্রতি কানাডার মন্ট্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক নতুন এই তথ্যটিই প্রকাশ করেছে। তারা জানিয়েছেন, নারী পুরুষের মিলনে পুরুষের শতকরা ১০০ ভাগ আর নারীর শতকরা ৬৯ ভাগ ক্যালরি খরচ হয়। এটি তাদের কোনো মনগড়া তথ্য নয়।রীতিমতো কয়েকজন দম্পতির উপর গবেষণা চালিয়ে তারা তথ্যটি প্রকাশ করেছে। ১০থেকে ৫৭ মিনিট স্থায়ীত্বের যৌন মিলন সম্পর্কে লিপ্ত নারী পুরুষের উপর গবেষণা করে মন্ট্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের এই গবেষক দলটি। তবে সময়ের স্থায়ীত্ব আরো বেশি হলে ক্যালরি আরো বেশি ক্ষয় হবে বলে জানান তারা।এত কিছু বলার পর নিশ্চয়ই আপনি ভাবছেন এমন তথ্য আবার গবেষকরা কিভাবে আবিষ্কার করলেন তাইতো? সেটাও জানিয়েছেন গবেষকরা। তবে এটা ঠিক যে যৌন সম্পর্ক নিয়ে এর আগে যত গবেষণা হয়েছে এর বেশিরভাগই করা হয়েছে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কিংবা কোন কেবল বা মাস্কের সাহায্যে। তাই হয়তো নতুন এই গবেষণার ফলাফল মেনে নিতেও আপনার কষ্টহবে। তবে মেনে নেয়া না নেয়া পুরোটাই আপনার ব্যাপার। নতুন এই গবেষণাটি করার আগে অনেক বিষয় ভাবা হয়েছে। তবে এই গবেষণার পুরোটাই করা হয়েছে অনেক খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে গবেষণার পরে।তবে ২১ টি জুটি সক্সমমের মাধ্যমে ও পরে ৩০ মিনিট ট্রেডমিলে হেঁটে ক্যালরি ক্ষয়ের পরিমাণ সম্পর্কে পরীক্ষা নীরিক্ষা করা হয়েছে। ক্যালরি ক্ষয়ের ক্ষেত্রে প্রতি মিনিটে দেখা যায় পুরুষরাই এগিয়ে আছেন। ট্রেডমিলে হাঁটা পুরুষরা জানিয়েছেন সঙ্গীর সঙ্গে মিলনে বরং তাদের ক্যালরি খরচ হয় বেশি।গবেষক দল শুধু গবেষণা করেই ক্ষান্ত হননি বরং তারা তাদের গবেষণালদ্ধ ফলাফল ‘প্লোস ওয়ান’ নামের একটি দৈনিকেও প্রকাশিত হয়েছে। সঙ্গে তারা এও জানিয়েছে নর নারীর সঙ্গমের সময় প্রতি মিনিটে পুরুষের ক্ষয় হয় ৪.২ ক্যালরি আর মেয়েদের প্রতি মিনিটে ৩.১ ক্যালরি খরচ হয়। এখন সঙ্গমের স্থায়ীত্ব দেখে হিসেব করে নিতে পারেনআপনার কত ক্যালরি প্রতিবার সঙ্গমের সময় ক্ষয় হচ্ছে।ক্যালরির হিসাব তো করলেন, এবার কি করবেন? প্রতিবার বীর্যের সাথে আপনি কি বেড় করে দিচ্ছেন? একবারও প্রশ্ন আসেনা মনে, এই বীর্যটা আসে কোথা থেকে? কি আছে এই আঠালো পানীয় পদার্থে? ২৪ ঘন্টায় ২৪ বার বীর্যপাত করে সাময়িক তৃপ্তি লাভ করতে চাইলে ২৪ বারই বীর্য বেড় হবে। কিন্তু আসছে কোথা থেকে? ২৪ বার তো আপনি আপনার শরীরে কিছু ইনপুট/ইংজেক্ট করেননি, তবে ২৪ বার যে বীর্য বের হবে, সেটা কি আপনার শরীরে থেকে কিছু নিয়ে বেড় হচ্ছে না?? আপনার শরীর থেকে যেটা আপনি অকারনে বেড় করছেন, সেটা কি আপনার জন্য ক্ষতিকর কিনা ভেবে দেখেছেন?পিটুইটারি গ্রন্থির নাম তো শুনেছেন, না? স্কুল লেভেলের বিজ্ঞান বইতে তো পড়ার কথা। না শুনলে একটু ধারনা নিন...পিটুইটারি মানবদেহের সবচেয়ে ছোটো কিন্তু সবচেয়ে শক্তিশালী অনাল গ্রন্থি । ওজন মাত্র 500 mg. । এই গ্রন্থি নিঃসৃত হরমোনগুলি, অন্যান্য অন্তঃক্ষরা গ্রন্থির নিঃসরণকে নিয়ন্ত্রণ করে বলে একে মুখ্য গ্রন্থিবা প্রভু গ্রন্থি [Master Gland] বলে । পিটুইটারি গ্রন্থি মস্তিষ্কের মূলদেশে স্ফেনয়েড অস্থির সেলা-টারসিকা প্রকোষ্ঠে অবস্থিত।পিটুইটারি সম্পর্কে হাল্কা ধারনা হলো তো? যাক, এবার তাহলে বলি? ও হ্যাঁ, টেস্টোস্টেরন সম্পর্কে কিছু জানেন? জানলে ভালো, তাও বলি...Testosterone is a hormone that stimulates sexual development in male human beings. It is primarily responsible for maintenance of the male reproductive system. It belongs to a family of hormones called androgens. Androgensare produced primarily by the testicles, a pair of male sex glands. The ovaries in females and the adrenal glands in both sexes also yield small amounts of testosterone and other androgens. Testosterone is a steroid compound, which also promotes masculinization.During a boy’s early teenage years, his testicles are stimulated by a hormone from the pituitary gland (LH and FSH) to secrete increasing amounts of testosterone, particularly during sleep. Testosterone enters the blood and acts on certain tissues in the body to cause various physical changes. These changes include growth of hair on the face and in the genital area, muscle development, deepening of the voice, and maturation of the sex organs.Testosterone and pituitary FSH also helps in the reproduction of sperm by the testicles. After a man reachesold age, the testicles produce smaller amounts of testosterone.আরও একটু ক্লিয়ার করি?কথা হলো, আমি পিটুইটারি আর টেস্টোস্টেরন নিয়া কেন বগবগ করছি, তাইতো? প্রতিবার বীর্যপাতে বীর্যের সাথে বেশ পরিমানে টেস্টোস্টেরন হরমন নিঃসৃত হয়ে যায়। আপনি বলতেই পারেন, নিঃসৃত হয়, তো? ...তো?? উপরে টেস্টোস্টেরন সম্পর্কে ছোট্ট লেখাটিআবার পড়তে বলবো। তারপর এইদিকে দেখুন...কি দেখছেন? Everything Starts in the Brain...Right? Our brain sends a signal to the pituitary gland, which iswhat regulates the production of testosterone.The pituitary gland is very important for the regulation of several hormones in our body (testosterone,luteinizing hormone, and prolactin) and is located in the center of our brain.The pituitary gland tells the testiclesto produce testosterone.The testicles are those that actually produce the hormone, they get the job done.Low testosterone means that for some reason the testicles don't produce enough test.If the whole process brain-pituitary gland-testicles don’t work properly you are likely to suffer some or all the symptoms of low testosterone.Low testosterone symptoms include:• Lack of sex drive (don't confuse it with male sexual dysfunction)• Loss of muscle mass• Increased body fat• Depression/bad mood• Lack of energy• Memory lossআপনি কেন অযথা এই testosterone নামক মূল্যবান হরমনটিকে ব্যয় করে নিজের ক্ষতি করছেন? কেন আপনি অশ্লীলতাক নিজের ভিতর প্রশ্রয় দিচ্ছেন? কারনটা সাময়িক তৃপ্তি তাইতো? আপনি তো কোনো নাকোনো ধর্মের অনুসারী, কোনো ধর্মেই তো এসব করা জায়েজ নয়।তাছাড়া, বিয়ের পরেও অতিরিক্ত সহবাস না করার কথাও বলা আছে। আপনি বলতেই পারেন, এইযে যা বেড় হচ্ছে, প্রতিদিনের খাওয়া-দাওয়ায় তো তা পূরণ হচ্ছেই, সমস্যাটা কোথায় বেড় হলে? একবার পর্ণ ভিডিও দেখলে/গল্প পড়লে/অশ্লীল চিন্তা করলে সেটা আপনাকেবীর্যপাত পর্যন্ত নিয়ে যাবে এটা ঘটে ১০০% ক্ষেত্রে। এটা আপনার ইচ্ছা/অনিচ্ছা ২ ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। হয় সেটা স্বপ্নদোষের মাধ্যমে, নচেৎ আপনি নিজেই করছেন। একবার বীর্যপাত করলে ২,৫৯,২০০ সেকেন্ডসময় লাগে আপনার মস্তিস্ক পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে।বুঝতে পারছেন কি পরিমান ক্ষতি এটা?আপনি নেটে সার্চ দিলে অনেক উত্তর পাবেন এরকম, সপ্তাহে ২/১ বার বীর্যপাতকরা, পর্ণ মুভি/ভিডিও দেখা স্বাস্থের জন্য ভাল। দেখতে হবেনা, এটাই সত্যি যে,এইসব উত্তরের ৮৫%’ই হচ্ছে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, লন্ডন, কানাডা সহ বেশ কিছু দেশের, যেগুলো পর্ণোগ্রাফী নামক কীটটার শুরু করে তার বংশ বিস্তার করে পুরো পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিয়েছে, ডাক্তারদের। বাকি ১৫% হচ্ছে আমাদের মতো মুসলিম দেশের ডাক্তারদের। এখন বলতেই পারেন, আমাদের দেশের ডাক্তাররা যেখানে বলছে এটা খারাপ না, তবে সমস্যা কোথায়? সমস্যা আছে...দেশের সব ডাক্তারএকই কথা বলবেনা, যারা বলবে তারা ঐ বাইরের দেশের ডাক্তারদের দেখে এবং তারা নিজেরাই পর্ণাসক্ত। প্রশ্ন তো প্রশ্নই, বলতেই পারেন, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, লন্ডন, কানাডা সহ বেশ কিছু দেশের ডাক্তাররা/ঐ দেশী সাইটগুলোতে সপ্তাহে ২/১ বার বীর্যপাতকরা, পর্ণ মুভি/ভিডিও দেখা স্বাস্থের জন্য ভাল এসব কেন বলছে? ব্যাবসা...এটাই উত্তর। মানুষের যৌন চাহিদাটা তাদের কাছে অনেক বড় একটা পূঁজি। সেটাকে পূঁজি করেই তাদের পর্ণব্যাবসা রমরমা ভাবেই চলছে, আর ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে উঠতি বয়স থেকে শুরু করে পড়ন্ত বিকেলের যুবক যুবতীরা।আমাদের দেশের কথাই যদি বলি, তরুন যুব সমাজ আজ পর্ণোগ্রাফীর করাল ছোবলে আক্রান্ত। আজকাল লিভটুগেদারের নামে অনেক তরুন তরুনী একই বাসার নিচে প্রতিনিয়ত যৌবনের স্বাদ নিতে গিয়ে নিজেদের অন্ধকারাচ্ছন্নের খেলা খেলছে। এই পর্ণোগ্রাফির কারনেই অকালে অনেক ভ্রুন দেখা যায় পথের ডাস্টবিনে। তারা নিজেরাও বুঝছেনা, কি নিয়ে তারা ‘ফূর্তি’র ছলা খেলছে, নিজেদের নিশ্চুপে ধংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। বাইরের দেশের মতো আজ বাংলার মাটিতেও ইঞ্চেস্ট ক্লিপ বানিয়ে নিজেকে অনেক কিছু ভাবছে ছোট্ট কিশোর/কিশোরী বালক/বালিকাটি, বুঝছেনা চরিত্র, নৈতিকতার সাথে নিজের কত বড় ক্ষতি সে করছে।আজ ৭ বছরের বাচ্চাও রাস্তায় হেটে যাওয়া কোনো মেয়ে/ছেলেকে দেখে কমেন্ট ছুড়ে দেয়, ‘SO HOT!!!’ ...পর্ণোগ্রাফীই এর কারন। দেশের সরকার গুগল/ইউটিউব বন্ধ রেখেছিলেন, পর্ণ সাইটগুলো বন্ধ করাতে তার কি সমস্যা?সরকার না করছেন না, তো? নিজে নিজের ভালো বুঝবেন না? সবথেকে বড় বিষয় হচ্ছেধর্ম ভীরুতা এবং স্বনিয়ন্ত্রন। পর্ণ দেখা না দেখাটা আপনার ইচ্ছার উপর নির্ভর করে, মস্তিস্ককে কখনও অলস রাখবেন না, চেষ্টা করবেন কাজের ভেতর থাকতে। নিজ নিজ ধর্মীয় আচার-কানুন পালন করবেন। নিজের ভিতরের প্রতি তীক্ষ্ম মনযোগী হোন, যখনই আচ পাবেন আপনার ভেতর কুচিন্তা/অশ্লীলতার আভাস পাচ্ছেন, তখনই মনকে অন্য কোথাও ডাইভার্ট করে ফেলুন, পারলে পবিত্র(আমি বলছিনা অপবিত্র হয়ে গেছেনআপনি, ইসলাম ধর্মে সাধারনত অযু করে তারপর ধর্মীয় গ্রন্থ পড়া হয়) হয়ে ধর্মীয় গ্রন্থ পড়ুন।সবশেষে, You may take it as a reminder, নিজের কাছে প্রতিজ্ঞা করুনকখনো অশ্লীলতাকে প্রশ্রয় দিবেন না, আরhonest থাকুন এই ব্যাপারে। হয়তো আপনিআমাকে চেনেন না, আমি আপনাকে চিনি তাও বলছিনা, এতোক্ষন যেহেতু লেখাটুকু পড়লেন সময় নিয়ে কষ্ট করে, একটা কথা বলব, ৪০দিনের পরিক্ষা করুন নিজেই নিজেকে, ৪০ দিনের ভিতর যে কোনো ধরনের অশ্লীলতা থেকে আপনি দূরে থেকে দেখুন, ৪০ দিন আগের এবং ৪০ দিন পরের লাইফের ভেতর আপনি পার্থক্য পাবেনই, ইনশাআল্লাহ। তারপর বুঝবেন অশ্লীলতা আপনাকে কোথায় নিয়ে গিয়েছিলো, আর এখন আপনি কোথায় আছেন।