Wednesday, July 25, 2018

আপনি কি যখনই সুযোগ পান তখনই পর্ন দেখেন? উত্তর যদি হ্যাঁ হয় তাহলে বলা যায় পর্নের প্রতি আপনার আসক্তি তৈরি হয়েছে।


আপনি কি যখনই সুযোগ পান তখনই পর্ন দেখেন? উত্তর যদি হ্যাঁ হয় তাহলে বলা যায় পর্নের প্রতি আপনার আসক্তি তৈরি হয়েছে। আর এই আসক্তি থেকে যত দ্রুত সম্ভব মুক্তি পেতে হবে আপনার। যদি এক দিনে না পারেন, তবে ধীরে ধীরে। কিন্তু বন্ধ করতেই হবে।
কারণ চিকিৎসকরা জানান, পর্নাসক্তি ড্রাগের নেশা থেকে কোনও অংশে কম নয়, তা স্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে আপনার জীবনে।
জেনে নিন চিকিৎসকদের মতে যে ৮ কারণে আপনার এখনই পর্ন দেখা বন্ধ করা উচিত।
১. অতিরিক্ত পর্নের নেশা ড্রাগের চেয়েও মারাত্মক। পর্ন ড্রাগ, মদ বা সিগারেটের মতোই আসক্তি তৈরি করে। পর্ন দেখলে মস্তিস্কে একটা 'ফিল গুড' রাসায়নিক তৈরি হয়। এর নাম ডোপামিন। একটানা পর্ন দেখলে মস্তিস্কে ডোপামিনের পরিমাণ বেড়ে যায়। তখন সামান্য ডোপামিনের ক্ষরণে উত্তেজনা তৈরি হয় না। আরও বেশি ডোপামিনের জন্য মস্তিস্ক আরও বেশি পর্নের রসদ খোঁজে এবং আসক্তি বাড়িয়ে তোলে।
২. অতিরিক্ত পর্নের আসক্তি সম্পর্কের ক্ষতি করে। যত বেশি পর্ন দেখবেন, ততই আপনি একটা অলীক ফ্যান্টাসির জগতে চলে যাবেন। এর ফলে বস্তবের সম্পর্কগুলো আর আপনাকে সুখ দিতে পারবে না, যা সম্পর্কের অবনতির অন্যতম প্রধান কারণ হয়ে ওঠে।
৩. অতিরিক্ত পর্ন মানসিক রোগের জন্ম দেয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পর্ন দেখা হয় একা, সমাজের চোখ এড়িয়ে। এর ফলে ধীরে ধীরে একটা অপরাধ বোধ জন্ম নেয়। যা থেকে ভবিষ্যতে মানসিক রোগ হতে পারে।
৪. অতিরিক্ত পর্ন আপনার মনে ভাবনার সাম্যতা নষ্ট করে দেয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পর্ন তারকারা মেক আপ, ফোটোশপ এবং কসমেটিক সার্জারির সাহায্য নেন। বেশি পর্ন দেখলে আপনি মানসিক ভাবে বাইরের মানুষদের মধ্যে সেই তারকাদের খুঁজে পেতে চেষ্টা করবেন।
৫. অতিরিক্ত পর্ন আপনার স্বাভাবিক যৌনজীবন ক্ষতিগ্রস্ত করে তোলে। অতিরিক্ত পর্ন আপনার সঙ্গীর প্রতি আসক্তি কমিয়ে দেয়। ফলে নষ্ট হয় স্বাভাবিক যৌনজীবন।
৬. পর্ন দেখা লোকজনের ইরেক্টাইল ডিসফাংশান হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। অতিরিক্ত পর্ন মস্তিস্কে রাসায়নিক ভারসাম্য নষ্ট করে এই রোগের সৃষ্টি করে।
৭. পর্ন নারী পাচারের প্রবণতা বাড়ায়। পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে যারা যুক্ত, তাদের অনেকে স্বেচ্ছায় এই পেশা বেছে নিলেও নতুন মুখের চাহিদা এখানে প্রবল।
চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে যোগান বাড়াতে গিয়ে বাড়ে নারী পাচারের সংখ্যা।
৮. পর্ন আপনাকে বদমেজাজি ও খিটখিটে করে তোলে। দেখা গেছে, একেবারে সাদামাটা পর্নও অতিরিক্ত দেখলে তা আপনার মানসিকতায় প্রভাব ফেলে। এছাড়াও আপনাকে অতি আক্রমণাত্মক, বদমেজাজি ও খিটখিটে করে তোলে

xxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxxx


নিউজ ডেস্ক: পর্নোগ্রাফি নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই যৌন উৎকল্পনার খোরাক যোগায়। তবে এক্স রেটেড ইমেজ ও ফিল্ম উৎকাল্পনিক ইন্দ্রিয় সুখ দেওয়ার পাশাপাশি স্বাস্থ্যেরও অনেক ক্ষতি করে।মানসিক অবস্থার উপর বিভিন্ন ধরনের প্রভাব ফেলতে সক্ষম হরমোন নিঃসরণের পাশাপাশি আসক্তিমূলক প্রবণতাও সৃষ্টি করতে পারে পর্ন। ফলে আমাদের মস্তিষ্কে পর্নোগ্রাফির মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাবও পড়তে পারে।   আপনি যত বেশি পর্ন দেখবেন ততই মন চাইবে।  স্বাভাবিক যৌন সহবাস ও পর্ন মুভি দেখা উভয়ের মাধ্যমেই মস্তিষ্কে ডোপামিন নামের হরমোন নিঃসরিত হয়। এই হরমোনের প্রভাবেই আমাদের মস্তিষ্কে আনন্দের অনুভুতি বা ইন্দ্রিয় সুখানুভুতির সৃষ্টি হয়।কিন্তু নিয়মিত পর্ন দেখার ফলে স্বল্পবিরতিতে বারবার ডোপামিন নিঃসরণের ফলে মস্তিষ্ক এই হরমোনটির কার্যকারীতার প্রতি সংবেদনশীলতা হারিয়ে ফেলতে পারে।   জেএমএ সাইকিয়াট্রি নামের জার্নালে ২০১৪ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দাবি করা হয়- নিয়িমিত পর্ণ মুভি দেখলে একটা সময়ে এসে যৌনতার প্রতি মস্তিষ্কের উদ্দীপনায় ঘাটতি নেমে আসতে পারে।তার মানে আগের মতো স্বাভাবিক মাত্রার যৌন উদ্দীপনা ধরে রাখতে হলে আরো বেশি হারে ডোপামিন নিঃসরণের দরকার পড়বে। এর জন্য আবার আরো বেশি বেশি পর্ন মুভি দেখার প্রয়োজন পড়বে। গবেষণায় এমনটাই প্রমাণ পেয়েছেন জার্মান বিশেষজ্ঞরা।  সাইকোলজি টুডে-তে প্রকাশিত ২০১১ সালের আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, এভাবে অতিরিক্ত ডোপামিনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেওয়ার মানে হল যারা পর্ন মুভি দেখেন তাদের যৌন উত্তেজনা বা উদ্দীপনা সৃষ্টি হওয়ার জন্য উত্তোরত্তর চরম অভিজ্ঞতামূলক পরিস্থিতির প্রয়োজন পড়বে।পর্ন মুভিতে অমন অস্বাভাবিক যৌনাচরণ দেখার ফলে পুরুষরা ক্রমান্বয়ে যৌন সংবেদনশীলতা হারাতে থাকে এবং স্বাভাবিকভাবে যৌন উত্তেজনার সক্ষমতাও হারাতে থাকে।পর্নোগ্রাফি এমন একটি তরুণ প্রজন্ম সৃষ্টি করে যারা বেডরুমে হতাশায় ভোগে।  পর্ন মস্তিষ্ককে সংকুচিত করে  যারা নিয়মিত পর্ন মুভি দেখেন সম্ভবত তাদের মস্তিষ্ক সংকুচিত হয়ে আসতে থাকে। ওই জার্মান গবেষকরা এমনটাই আবিষ্কার করেছেন।মস্তিষ্কের যে অংশটুকুতে যৌন উদ্দীপনা ও ইন্দ্রিয় সুখানুভুতি সৃষ্টি হয় অতিরিক্ত পর্ন মুভি দেখার ফলে সে অংশটুকেু ক্রমান্বয়ে সংকুচিত হয়ে আসতে থাকে।ওই গবেষণায়ই সর্বপ্রথম গবেষকরা নিয়মিত পর্ন মুভি দেখার সঙ্গে শারীরিক ক্ষয়ক্ষতির সম্পর্ক খুঁজে পেয়েছেন। তবে এমন সম্ভাবনাও রয়েছে যারা বেশি বেশি পর্ন মুভি দেখেন তারা হয়তো একটি বিশেষ ধরনের মস্তিষ্ক নিয়েই জন্মগ্রহণ করেন।  
পর্ন আসক্তদের মন ড্রাগ আসক্তদের মতোই 
২০১৩ সালে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, পর্ন আসক্তরা যখনই পর্ন মুভি দেখতে বসে তাদের মস্তিষ্কে স্ক্যান মেশিনের মতো আলো জ্বলে ওঠে।যেসব তরুণ অনলাইন পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত তারা উত্তেজক ছবি দেখামাত্রই তাদের মস্তিষ্কে ক্রিসমাস ট্রির মতো আলো জ্বলে ওঠে। সম্প্রতি এক গবেষণায় এমনটিই দেখা গেছে।মস্তিষ্কের যে অংশে উৎসাহ, উদ্দীপনা ও ইন্দ্রিয় সুখানুভুতি সৃষ্টি হয় সে অংশটি ড্রাগ আসক্ত ও পর্ন আসক্ত উভয়ের বেলায়ই সমান উচ্চহারে সক্রিয় থাকে। 
এর এক বছর পর একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, যারা অল্প বয়স থেকেই পর্ন মুভি দেখায় অভ্যস্থ হয়ে পড়ে তাদের মস্তিষ্কের তিনটি অংশ যারা পর্নআসক্ত নয় তাদের চেয়ে অনেক বেশি সক্রিয় থাকে। সূত্র: ডেইলি মেইল 

পুরুষ তো বটেই, আজকাল মেয়েদেরও একটা অংশ নীল ছবি দেখে। গত বছর একটি সমীক্ষা থেকে এ কথা জানা গেছে। ফলে পর্ন ফিল্ম দেখা নিয়ে রাখঢাক করে লাভ নেই। বাস্তবটা মেনে নেওয়াই ভালো। তবে, এর কুফলও পড়তে শুরু করেছে। এবং সেটা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। কী দেখে, কেন দেখে- এসব আলোচনা ছেড়ে সোজাসুজি একটা কথা বুঝে নেওয়া দরকার, উপমহাদেশে সেক্স-এডুকেশন বলে কিছু নেই। ভালোমন্দ বুঝে ওঠার আগেই অল্পবয়সী ছেলেমেয়েরা পর্ন ছবি দেখতে শুরু করছে। আর তার চেয়ে বড় চিন্তার বিষয়, দেখে দেখে সেটাকে অনুকরণ করার চেষ্টা করছে। শুধু অনুকরণই নয়, অনেকে আবার ছবি তুলে সংগ্রহ করে রাখছে নিজের কাছে। ফল যে কত মারাত্মক হতে পারে, তা চিন্তা না করেই। পর্ন ছবি দেখার আরও কুফল আছে। সেগুলো একনজরে দেখে নেওয়া যাক।
১. মন নয়, শুধুই শরীর
প্রেমের সম্পর্ক হারিয়ে যাচ্ছে। সবটাই শরীরসর্বস্ব হয়ে উঠছে। শরীরের চাহিদা মেটাতেই অপরের প্রতি আকর্ষণ তৈরি হচ্ছে। ফলে ভেঙেও যাচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি। বিয়ের পর, অনেক ক্ষেত্রেই যৌনতায় অতৃপ্তি তৈরি হচ্ছে। এবং শেষ পর্যন্ত ছাড়াছাড়ি পর্যন্ত গড়াচ্ছে।
২. বিপরীত লিঙ্গের প্রতি অশ্রদ্ধা
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পুরুষ (পড়ুন অশিক্ষিত পুরুষ) অশ্রদ্ধার চোখে দেখতে শুরু করছে মেয়েদের। ভাবছে নারী বোধহয় শুধুই ভোগ্যবস্তু। শুধু সহবাসের জন্য নারীর প্রয়োজন। সমাজে নারীর গুরুত্ব হারাচ্ছে। ফলে বাড়ছে ধর্ষণ, শ্লীলতাহানির মতো ঘটনা। যে দেশে অশিক্ষিতের সংখ্যা বেশি, সেখানে এর কুফলই বেশি আসবে, তাতে সন্দেহ কী। কারণ ভালোমন্দ বুঝে নেওয়ার ক্ষমতা এই অশিক্ষিত শ্রেণির মধ্যে নেই। অথচ হাতে আছে সিডি, ডিভিডি, পেন-ড্রাইভ, ইন্টারনেট।
৩. সামাজিক মূল্যবোধ হারাচ্ছে
সৃষ্টিশীলতা, সৃজনশীলতা ধ্বংস হচ্ছে। সারাক্ষণই যৌনতা ঘুরছে অল্পবয়সী, না বুঝে ওঠা ছেলে মেয়েদের মধ্যে। বাঁধন হারাচ্ছে সবকিছুর। সামাজিক মূল্যবোধ হারাচ্ছে। নারী হলেই হলো। সম্পর্ক দেখছে না। ছাত্রী, পাড়ার বোন, ভাবি- বাদ যাচ্ছে না কিছুই। এমনকী রেহাই পাচ্ছে না ছোটো ছোটো শিশু। সবার দিকেই লোলুপ দৃষ্টি। সামাজিক অবনমন হয়েই চলেছে দিন কে দিন।
৪. অশ্রাব্য ভাষা ও ইঙ্গিত বাড়ছে
ছোটো ছোটো ছেলেরা পর্ন ছবি দেখে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে। নারী দেখলেই অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলছে। ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলছে। লজ্জা, শঙ্কা, ভয়, ডর- কিছুই থাকছে না। মনে করছে পৃথিবীর সবই হাতের মুঠোয়। (পড়ুন, সবাই হাতের মুঠোয়।)
৫. পর্ন ছবির যৌনতাকে বাস্তবায়িত করার চেষ্টা
নীল ছবির রগরগে যৌনতাকে অনুকরণ করার চেষ্টা করছে। কখনও সেটা ভয়ংকর হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ভারতের নির্ভয়াকাণ্ডের মতো বীভৎস ঘটনার সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে।

No comments:

Post a Comment